তো বন্ধুরা, আজ আমরা ১ পাইস (১ পয়সা) ঘোড়া কয়েনের সবচেয়ে মূল্যবান কয়েনগুলোর বিষয়ে কথা বলবো—যেসব কয়েন বিরল, ১৯৫০-১৯৫৫ সালের ১ পাইস কয়েনের মূল্য কত এবং কোনগুলো সংগ্রহ করা উচিত?
যদি আপনার কাছে ইতিমধ্যে এমন ১ পাইস কয়েন থাকে, তাহলে এটি আপনার জন্য একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাকে এমন কয়েনগুলোর সম্পূর্ণ তথ্য দেব, যেগুলো সর্বোচ্চ মূল্য দিতে পারে। একই সঙ্গে, আমরা এটাও জানাবো যে, যদি আপনার কাছে এমন কয়েন থাকে, তাহলে সেগুলো কোথায় বিক্রি করতে পারবেন?

১ পাইস কয়েনের বিবরণ
| দেশ | ভারত | 
|---|---|
| কয়েনের ধরন | স্ট্যান্ডার্ড প্রচলিত কয়েন | 
| প্রকাশের বছর | ১৯৫০-১৯৫৫ | 
| মূল্যমান | ১ পাইস বা ₹ ১/৬৪ | 
| ধাতু | ব্রোঞ্জ | 
| ওজন | ২.৯২ গ্রাম | 
| ব্যাস | ২১ মিমি | 
| আকৃতি | গোলাকার | 
নকশা
১ পাইস কয়েন আজকের সময়ে খুবই বিরল। সাধারণ পরিবারের মধ্যে এই কয়েনগুলো খুব কমই দেখা যায়। কয়েনের সামনের দিকে অশোক স্তম্ভের নকশা রয়েছে এবং “Government of India” লেখা আছে। পিছনের দিকে একটি ঘোড়ার ছবি দেওয়া রয়েছে। এছাড়া “One Pice” ও “एक पैसा” লেখা থাকে, সঙ্গে বছর ও টাঁকার চিহ্ন (মিন্টমার্ক) উল্লেখ করা থাকে। এই কয়েন ব্রোঞ্জ ধাতু দিয়ে তৈরি, যার ওজন ২.৯২ গ্রাম। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে এগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
১৯৫০ সালে স্বাধীনতার পর ১ পাইস (১ পয়সা) কয়েন চালু করা হয়। তবে স্বাধীনতার আগেও আমাদের দেশে ১ পাইস কয়েন চালু ছিল, কিন্তু তখন এই কয়েনগুলোর মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকত। তো বন্ধুরা, এই ঘোড়ার ছবি দেওয়া ১ পাইস কয়েনগুলোর কথা বললে, সেগুলো পিতল ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
এই কয়েনগুলোর মূল্য সম্পর্কে বলতে গেলে, ১৯৫০ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে এগুলোর দাম ওঠানামা করেছিল, তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান হলো হায়দরাবাদ মিন্টের ১৯৫৩ ও ১৯৫৫ সালের কয়েন। হায়দরাবাদ মিন্টকে চিহ্নিত করা যায় (*) মিন্টমার্ক দ্বারা।
- ১৯৫৪ সালের হায়দরাবাদ মিন্ট কয়েন ভালো অবস্থায় থাকলে ₹৪,০০০ পর্যন্ত দাম পেতে পারেন।
 - ১৯৫৫ সালের হায়দরাবাদ মিন্ট কয়েন যদি UNC (Uncirculated) অবস্থায় থাকে, তাহলে ₹৬,০০০ পর্যন্ত মূল্য পেতে পারেন।
 
এখন আসি সবচেয়ে মূল্যবান কয়েনের বিষয়ে—এটি হলো ১৯৫৩ সালের হায়দরাবাদ মিন্টের কয়েন। যদি আপনার কাছে এমন একটি কয়েন থাকে, তাহলে বর্তমান বাজারে ₹৩৫,০০০ পর্যন্ত দাম পেতে পারেন!